সংজ্ঞা:
অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো জৈব যৌগ যা প্রোটিনের মৌলিক গঠন উপাদান হিসেবে কাজ করে। এগুলি একটি অ্যামিনো গ্রুপ (-NH₂), একটি কার্বক্সিল গ্রুপ (-COOH), একটি হাইড্রোজেন পরমাণু, এবং একটি বৈচিত্রময় পার্শ্ব শৃঙ্খলা (R-গ্রুপ) দিয়ে গঠিত। এদের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে 20 টি প্রকারের অ্যামাইনো অ্যাসিড বিদ্যমান।
অ্যামাইনো অ্যাসিডের গঠন:
অ্যামিনো অ্যাসিডের রাসায়নিক গঠন একক কণার মাধ্যমে বোঝানো যায়। প্রতিটি অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি কেন্দ্রীয় কার্বন পরমাণু (α-কার্বন) থাকে, যার সাথে চারটি ভিন্ন উপাদান যুক্ত থাকে:
- অ্যামিনো গ্রুপ (-NH₂): এটি একটি নাইট্রোজেন (N) এবং দুটি হাইড্রোজেন (H) পরমাণু নিয়ে গঠিত।
- কার্বক্সিল গ্রুপ (-COOH): এটি একটি কার্বন (C), দুটি অক্সিজেন (O) এবং একটি হাইড্রোজেন (H) পরমাণু নিয়ে গঠিত।
- হাইড্রোজেন পরমাণু (H): এটি একক হাইড্রোজেন (H) পরমাণু।
- পার্শ্ব শৃঙ্খলা (R-গ্রুপ): এটি অ্যামিনো অ্যাসিডের ভিন্নতা নির্ধারণ করে এবং ভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিডে ভিন্ন হয়।
সাধারণ অ্যামিনো অ্যাসিডের গঠন:
H
|
N
|
H₂N - C - COOH
|
R
বর্ণনাঃ
- α-কার্বন: কেন্দ্রীয় কার্বন পরমাণু।
- অ্যামিনো গ্রুপ (-NH₂): α-কার্বনের সাথে সংযুক্ত।
- কার্বক্সিল গ্রুপ (-COOH): α-কার্বনের সাথে সংযুক্ত।
- হাইড্রোজেন পরমাণু (H): α-কার্বনের সাথে সংযুক্ত।
- R-গ্রুপ: ভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিডে ভিন্ন হয়, এটি α-কার্বনের সাথে সংযুক্ত এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।
বিভিন্ন R-গ্রুপ:
- গ্লাইসিন: R-গ্রুপ = H
- অ্যালানিন: R-গ্রুপ = CH₃
- ভ্যালিন: R-গ্রুপ = CH(CH₃)₂
উদাহরণঃ
গ্লাইসিনের জন্য, রাসায়নিক গঠন:
H
|
N
|
H₂N - C - COOH
|
H
অ্যালানিনের জন্য, রাসায়নিক গঠন:
H
|
N
|
H₂N - C - COOH
|
CH₃
এই ধরনের গঠন অ্যামিনো অ্যাসিডকে একে অপরের সাথে যুক্ত হতে এবং পেপটাইড বন্ড গঠন করতে সহায়তা করে, যা প্রোটিনের মূল কাঠামো গঠন করে।