কার্বোহাইড্রেট:
কার্বোহাইড্রেট হলো এক ধরনের জৈব যৌগ যা সাধারণত কার্বন, হাইড্রোজেন, এবং অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে গঠিত হয়। এটি আমাদের শরীরের প্রধান শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। কার্বোহাইড্রেট মূলত তিন ধরনের হয়:
- মনোস্যাকারাইডস: সবচেয়ে ছোট কার্বোহাইড্রেট, যার মধ্যে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং গ্যালাক্টোজ অন্তর্ভুক্ত।
- ডাইস্যাকারাইডস: দুটি মনোস্যাকারাইড যুক্ত, যেমন সুক্রোজ (টেবিল চিনি), ল্যাক্টোজ (দুধে পাওয়া যায়) এবং ম্যাল্টোজ (বিয়ারে পাওয়া যায়)।
- পলিস্যাকারাইডস: অনেক মনোস্যাকারাইড একসাথে যুক্ত, যেমন স্টার্চ (আলু, গম, ভাতে পাওয়া যায়), গ্লাইকোজেন (যকৃতে শক্তি সংরক্ষণ করে) এবং সেলুলোজ (উদ্ভিদের কোষের দেয়াল তৈরি করে)।
কার্বোহাইড্রেট খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করার পর শরীরে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
কার্বনযৌগ সহযোগে গঠিত কার্বোহাইড্রেটের মৌলিক ধারণা :
কার্বোহাইড্রেট হচ্ছে এক ধরনের জৈব যৌগ যা মূলত কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), এবং অক্সিজেন (O) পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত। এই যৌগগুলোর সাধারণ রাসায়নিক গঠন হয় (যেখানে n একটি পূর্ণ সংখ্যা, n সাধারণত 3 থেকে 10,000 এর মধ্যে থাকে।)। কার্বোহাইড্রেটের মৌলিক ধারণা নিম্নরূপ:
মনোস্যাকারাইডস: এগুলো একক শর্করার গঠন নিয়ে গঠিত, যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, এবং গ্যালাক্টোজ। এগুলো হলো সবচেয়ে সহজ ধরনের কার্বোহাইড্রেট।
ডাইস্যাকারাইডস: দুটি মনোস্যাকারাইডের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ। উদাহরণস্বরূপ, সুক্রোজ (গ্লুকোজ + ফ্রুক্টোজ) এবং ল্যাকটোজ (গ্লুকোজ + গ্যালাক্টোজ)।
পলিস্যাকারাইডস: অনেকগুলো মনোস্যাকারাইডের একত্রিত হয়ে গঠিত বৃহৎ শৃঙ্খল। উদাহরণ হিসেবে স্টার্চ, গ্লাইকোজেন, এবং সেলুলোজ উল্লেখযোগ্য।