** Study Nutrition ওয়েবসাইটে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত ** নিউট্রিশন সাবজেক্ট এর প্রথম বাংলা ওয়েবসাইট **

1.6 Ideas about Proximate Principles & Protective Principles of Food (দেহ পরিপোষক খাদ্য ও দেহসংরক্ষক খাদ্য সম্বন্ধে ধারণা )

দেহ পরিপোষক খাদ্য এবং দেহসংরক্ষক খাদ্য দুটিই আমাদের দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের ভূমিকা এবং কার্যকারিতা ভিন্ন। নিচে এ দুটি প্রকারের খাদ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

দেহ পরিপোষক খাদ্য (Body-Building Foods):
  • সংজ্ঞা: দেহ পরিপোষক খাদ্য হলো এমন খাদ্য যা আমাদের শরীরের গঠন, বৃদ্ধি, মেরামত ও শক্তি সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
  • প্রধান উপাদান: প্রোটিন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।
  • কার্যকারিতা:
    • কোষ ও টিস্যুর গঠন: প্রোটিন দেহের কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গের গঠন ও মেরামত করে।
    • পেশী বৃদ্ধিতে সহায়ক: প্রোটিন পেশী বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    • হাড়ের গঠন: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়ক।
  • উৎস: মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম।
দেহসংরক্ষক খাদ্য (Body-Protecting Foods)
  • সংজ্ঞা: দেহসংরক্ষক খাদ্য হলো এমন খাদ্য যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • প্রধান উপাদান: ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
  • কার্যকারিতা:
    • রোগ প্রতিরোধ: ভিটামিন সি, ই এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
    • শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা: বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
    • এনজাইম ও হরমোনের কার্যক্রম: ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ এনজাইম ও হরমোনের সঠিক কার্যক্রমে সহায়ক।
  • উৎস: শাকসবজি, ফল, দুধ, ডিম, মাংস, মাছ।
দেহ পরিপোষক ও দেহসংরক্ষক খাদ্যের মধ্যে পার্থক্য:

বৈশিষ্ট্যদেহ পরিপোষক খাদ্যদেহসংরক্ষক খাদ্য
প্রধান কাজশরীরের গঠন, বৃদ্ধি, মেরামত ও শক্তি সরবরাহরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, জৈবিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, শরীরকে সুস্থ রাখা
পুষ্টি উপাদানশর্করা, প্রোটিন, ফ্যাটভিটামিন, খনিজ, জল
উদাহরণভাত, মাংস, ডিম, তেলফল, শাকসবজি, দুধ, জল