প্রোটিনের ধারণা প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান ছিল, যদিও তখন এর রাসায়নিক গঠন সম্পর্কে ধারণা ছিল অস্পষ্ট।
প্রাচীনকাল:
- ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ: গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস "প্রোটোস" (প্রথম) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, যা গ্রীক শব্দ "πρωτεῖος" (প্রোটেইওস) থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "প্রথম" বা "মৌলিক"। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এটি আমাদের শরীরের গঠনের মূল উপাদান।
- ১৮ শতক: রসায়নবিদরা উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে প্রোটিন আলাদা করতে শুরু করেন।
১. প্রাথমিক পর্যায়:
১৮৩৮: জার্মান রসায়নবিদ গেরার্ডাস মুল্ডার প্রথম প্রোটিন পদার্থের গঠন সম্পর্কে ধারণা দেন এবং "প্রোটিন" নামটি প্রস্তাব করেন।
২. প্রাথমিক গবেষণা:
১৯০২: এমিল ফিশার প্রোটিনের হাইড্রোলাইসিস প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষণা করেন এবং প্রোটিনের অ্যামিনো অ্যাসিডের গঠন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেন। তিনি প্রোটিনের পেপটাইড বন্ডের ধারণা দেন।
৩. প্রোটিনের গঠন নির্ধারণ:
১৯৫১: লিনাস পাউলিং এবং রবার্ট কোরি প্রথমে আলফা-হেলিক্স এবং বিটা-শিট প্রোটিনের সেকেন্ডারি স্ট্রাকচার নির্ধারণ করেন। এটি প্রোটিনের গঠনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।
৪. প্রোটিনের তৃতীয় পর্যায়ের গঠন:
১৯৫৮: ম্যাক্স পেরুতজ এবং জন কেনড্রু প্রথমে প্রোটিনের তৃতীয় পর্যায়ের গঠন নির্ধারণ করেন। তারা হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন প্রোটিনের স্ফটিক কাঠামো নির্ধারণ করেন এবং এই কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৫. প্রোটিনের চতুর্থ পর্যায়ের গঠন:
প্রোটিনের চতুর্থ পর্যায়ের গঠন নির্ধারণের জন্য আরো গবেষণা চালানো হয়, যা প্রোটিনের জটিল কার্যকারিতা বুঝতে সহায়ক।
৬. জেনেটিক কোড এবং প্রোটিন:
১৯৬০: মার্শাল নিরেনবার্গ এবং হার গোবিন্দ খোরানা জেনেটিক কোড আবিষ্কার করেন যা দেখায় কিভাবে ডিএনএ প্রোটিন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৭. আধুনিক যুগ:
আজকের দিনে প্রোটিন গবেষণা জিনোমিক্স, প্রোটিওমিক্স এবং বায়োটেকনোলজির মাধ্যামে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রোটিনের কাঠামো এবং কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি যেমন এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি, নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স (এনএমআর), এবং ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ব্যবহার করা হয়।