** Study Nutrition ওয়েবসাইটে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত ** নিউট্রিশন সাবজেক্ট এর প্রথম বাংলা ওয়েবসাইট **

2.2 Malnutrition, Causes of Malnutrition in India, Classification of Malnutrition (অপুষ্টি, ভারতবর্ষে অপুষ্টির কারণ, অপুষ্টির শ্রেণীবিভাগ)

 অপুষ্টি (Malnutrition)

"Malnutrition" শব্দটি দুটি লাতিন শব্দ থেকে এসেছে:

  • "Mal-" মানে "খারাপ", "অস্বাভাবিক" বা "অস্বাস্থ্যকর"।
  • "Nutrition" মানে "পুষ্টি"।

সুতরাং, "malnutrition" এর অর্থ "খারাপ পুষ্টি" বা "অপর্যাপ্ত পুষ্টি"।

এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯ শতকের শেষের দিকে, যখন বিজ্ঞানীরা বুঝতে শুরু করেন যে কিছু অসুস্থতা খাদ্যে পুষ্টির অভাবের কারণে হয়।

আজ, "malnutrition" শব্দটি বিভিন্ন ধরণের পুষ্টির ঘাটতি বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:

  • অপুষ্টি: যখন একজন ব্যক্তির পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি এবং পুষ্টি উপাদান পায় না।
  • মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি: যখন একজন ব্যক্তির পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বা খনিজ পায় না।
  • ওবেসিটি: যখন একজন ব্যক্তির অতিরিক্ত শরীরের চর্বি থাকে।
সংজ্ঞা:

According to the World Health Organization (WHO), malnutrition refers to deficiencies, excesses, or imbalances in a person's intake of energy and/or nutrients. This condition encompasses undernutrition (which includes stunting, wasting, and deficiencies of essential vitamins and minerals), inadequate vitamins or minerals (micronutrient deficiencies), overweight, obesity, and diet-related noncommunicable diseases. Essentially, malnutrition can manifest in multiple forms, all of which have adverse effects on health and well-being.

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে অপুষ্টির সংজ্ঞা:

অপুষ্টি হলো শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান না পাওয়ার অবস্থা। এর মধ্যে অতিরিক্ত পুষ্টি (যেমন, স্থুলতা) এবং পুষ্টির অভাব (যেমন, ক্ষুধা, ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি) উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।

সহজভাবে বলা যায় "অপুষ্টি" বা "মালনুট্রিশন" হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির পুষ্টি প্রাপ্তি অথবা পুষ্টিতত্ত্বের সম্পর্কে অপূর্ণতা বা অসম্পূর্ণতা থাকে। এটি খাদ্যের অপ্রচুর অধিক্ষেপ, প্রোটিন বা পুষ্টিশক্তির সামগ্রিক অভাব, বা অন্যান্য পুষ্টিশক্তির অসম্পূর্ণ প্রাপ্তির কারণে হতে পারে।

ভারতবর্ষে অপুষ্টির কারণ (Causes of Malnutrition in India): 

ভারতে অপুষ্টি একটি জটিল সমস্যা যার একাধিক কারণ রয়েছে।

কিছু প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

1. দারিদ্র্য: দারিদ্র্যের কারণে অনেক মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার কিনতে বা উৎপাদন করতে পারে না।

2. খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা: খরা, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক এলাকায় খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।

3. অপর্যাপ্ত শিক্ষা: অনেক মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, পুষ্টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখে না এবং স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

4. শিশুদের দুর্বল যত্ন: শিশুদের স্তন্যপান না করানো, পরিপূরক খাবার দেরিতে শুরু করা এবং অসুস্থতার সময় যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়া অপুষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়।

5. লিঙ্গ বৈষম্য: মেয়েদের এবং মহিলাদের প্রায়শই ছেলেদের এবং পুরুষদের তুলনায় কম খাবার দেওয়া হয় এবং তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণের সম্ভাবনা কম থাকে।

6. সংক্রমণ: ডায়রিয়া এবং হেলমিন্থ সংক্রমণের মতো সংক্রমণগুলি পুষ্টি শোষণে বাধা দিতে পারে এবং অপুষ্টির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

7. অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা: অনেক এলাকায়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়, মানুষের পুষ্টির ঘাটতির চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা অ্যাক্সেস নেই।

8. জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন খরা এবং বন্যার মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়।

অপুষ্টির শ্রেণীবিভাগ (Classification of Malnutrition):

1. অতিপুষ্টি (Overnutrition): "অতিপুষ্টি" বা "overnutrition" হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির পুষ্টি প্রাপ্তি অত্যধিক হয়ে যায়, যা তাদের স্বাস্থ্যকর প্রভাবিত করতে পারে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, এবং অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরি খাবারের মাধ্যমে হতে পারে।

A. বিষক্রিয়াজনিত অতিপুষ্টি: বিষক্রিয়াজনিত অতিপুষ্টি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে ব্যক্তির পুষ্টি প্রাপ্তি অতিরিক্ত হয়ে যায় এবং এটি প্রধানত অতিরিক্ত খাবার দ্বারা উপজীবিত হয়। এটি সাধারণত অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিষ্টি, বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার, সফট ড্রিংকস এবং অন্যান্য উচ্চ ক্যালোরি খাদ্যের ধারাবাহিক খাবারের মাধ্যমে উপজীবিত হতে পারে। এর ফলে ব্যক্তির ওজন অতিরিক্ত হতে পারে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

B. স্থুলতাজনিত অতিপুষ্টি: স্থুলতাজনিত অতিপুষ্টি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে ব্যক্তির ওজন অতিরিক্ত হয়ে যায়, যা হতে পারে অতিরিক্ত খাবার দ্বারা উপজীবিত হয় এবং পুষ্টি প্রাপ্তির পরিমাণ সাধারণত সামান্য হয়। এটি সাধারণত অতিরিক্ত ক্যালোরির ধারাবাহিক খাবার, মিষ্টি, বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার, সফট ড্রিংকস, এবং অন্যান্য উচ্চ কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের খাবার থেকে প্রাপ্ত হতে পারে। এর কারণ হতে পারে অনিয়মিত খাবার প্রবাহ, সমস্যা বা অবস্থা যেমন ডিপ্রেশন, বিপদ বা কমপ্রতিরোধকতা।

কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট আধিক্যের ফলে হতে পারে এমন কিছু সমস্যা:

কার্বোহাইড্রেট:

  • অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট শরীরে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
  • পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা রুটি, সাদা চাল এবং মিষ্টি পানীয়, রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রোটিন:

  • অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • প্রাণীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন লাল মাংস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ফ্যাট:

  • অতিরিক্ত চর্বি, বিশেষ করে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট, ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • কম চর্বি শরীরকে প্রয়োজনীয় অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করতে পারে না, যার ফলে ত্বকের সমস্যা, দুর্বল চুল এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা দিতে পারে।

বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ লবণের আধিক্যের ফলে হতে পারে এমন কিছু সমস্যা:

ভিটামিন:

  • ভিটামিন A: অতিরিক্ত ভিটামিন A মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
  • ভিটামিন D: অতিরিক্ত ভিটামিন D রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে কিডনি পাথর, পেশীতে দুর্বলতা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ভিটামিন E: অতিরিক্ত ভিটামিন E রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায় এবং দুর্বলতা, মাথাব্যথা এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ভিটামিন K: অতিরিক্ত ভিটামিন K রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায় এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

খনিজ লবণ:

  • আয়রন: অতিরিক্ত আয়রন পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
  • জিন্স: অতিরিক্ত জিন্স কিডনি পাথর, বমি বমি ভাব এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • ক্যালসিয়াম: অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনি পাথর, হাড়ের ক্ষতি এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • জিঙ্ক: অতিরিক্ত জিঙ্ক তামার শোষণে বাধা দেয়, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
2. ঊনপুষ্টি (Undernutrition): ঊনপুষ্টি, যা সাধারণত অতিপুষ্টির বিপরীত শব্দ হিসাবে বিবেচিত হয়, এটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির অভাবকে বোঝায়। এই অভাবটি ক্যালোরি, ভিটামিন, খনিজ লবণ বা এই সবকয়টির সমন্বয়ে হতে পারে।

A. প্রাথমিক বা মুখ্য ঊনপুষ্টি: প্রাথমিক বা মুখ্য ঊনপুষ্টি (Primary or Main Undernutrition) হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি এবং পুষ্টি গ্রহণের অভাবের কারণে সৃষ্ট ঊনপুষ্টির একটি ধরণ।

B. গৌণ ঊনপুষ্টি গৌণ ঊনপুষ্টি (Secondary Undernutrition) হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি শোষণ বা ব্যবহারের অভাবের কারণে সৃষ্ট ঊনপুষ্টির একটি ধরণ।

ঊনপুষ্টির প্রভাব (Effects of Undernutrition):

ঊনপুষ্টি শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং গর্भवতী নারীদের সবাইকেই প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • শারীরিক বৃদ্ধি বাধা (শিশুদের ক্ষেত্রে)
  • দুর্বলতা
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস
  • সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি
  • ক্লান্তি
  • মানসিক সমস্যা
  • মৃত্যু (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে)

ঊনপুষ্টিজনিত দৈহিক উপসর্গ:

১।  চুল: উজ্জ্বলতা বিনষ্ট হয়, টানলেই উঠে আসে
২।  মুখমন্ডল: শুষ্ক হয়ে যায়। নাকের পাশটা ফুলে ওঠে। 
৩।  ঠোঁট: ঠোঁটের কোণে ঘা হয়, শুষ্ক ও খসখসে হয়। অ্যাঙ্গুলার স্টোমাটাইটিস ও চিলোসিস দেখা যায়। 
৪।  জিভ: উপরিভাগে ছোট ছোট গুটি দেখা যায়, ব্যথা হয় ও স্বাদ নষ্ট হয়। 
৫।  চোখ: চোখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। কর্নিয়া শুকিয়ে যায় যাকে জেরোপথ্যালমিয়া বলে। চোক ফোটফোবিয়া হয় অর্থাৎ এল পড়লে চোখ ছোট হয়ে আসে। অনেকক্ষেত্রে চোক বিটস্স্পট তৈরী হয়। 
৬।  ত্বক: কুঁচকে যায়, গুটি হয়, ছোট ছোট দাগ হয়। 
৭।  দাঁত ও মাড়ি: দাঁতের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। মাড়ি ফুলে ওঠে ও রক্তক্ষরণ হয়। 
৮।  দেহের কাঠামো ও মাংসপেশি: দেহ শীর্ণ ও পেশী দুর্বল হয়। 
৯।  গ্রন্থি: ক্রিয়া ব্যাহত হয়। 
১০। স্নায়ুতন্ত্র: মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। 
১১।  অন্যান্য সমস্যা: হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ব্যাহত হয়। 

3.অসমপুষ্টি (Imbalance): অসমপুষ্টি হল পুষ্টির অভাব বা অতিরিক্ততা, যার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

1. কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট এর অসমতার জন্য পুষ্টি প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। 

ক্যালোরি ও থিয়ামিন এর অসমতার জন্য ক্যালোরির চাহিদা বাড়লে থ্যামিনের চাহিদা বাড়বে। ক্যালোরির চাহিদা কমলে থ্যামিনের চাহিদা কমবে। সম্পর্ক সমানুপাতিক। 
ক্যালোরি ও থিয়ামিনের অসামঞ্জস্যতা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

2. সোডিয়াম ও পটাসিয়াম এর অসমতার জন্য
সোডিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে,পেশী এবং স্নায়ু কার্যকারিতা বজায় রাখে,তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। 
সোডিয়ামের অতিরিক্ত মাত্রা: উচ্চ রক্তচাপ, ফোলাভাব, মাথাব্যথা, শুষ্ক মুখ, পেশী ক্র্যাম্প। 
পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, পেশী এবং স্নায়ু কার্যকারিতা বজায় রাখে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। 
পটাসিয়ামের অভাব: ক্লান্তি, দুর্বলতা, পেশী ক্র্যাম্প, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, বিভ্রান্তি।

3. ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের (২:১ অনুপাত) অসামঞ্জস্যতা হাড়ের সমস্যা, কিডনি পাথর, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

4. ভিটামিন E এবং সেলেনিয়াম এর অসমতার জন্য 

ভিটামিন E এবং সেলেনিয়াম আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

ভিটামিন E ও সেলেনিয়ামের অসামঞ্জস্যতা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ভিটামিন E-এর অভাব: দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, ত্বকের সমস্যা, স্নায়ু সমস্যা, পেশী দুর্বলতা
প্রজনন সমস্যা। 

সেলেনিয়ামের অভাব: দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, থাইরয়েডের সমস্যা, পুরুষদের অন্ডাশয়ের, কার্যকারিতা হ্রাস, প্রজনন সমস্যা। 

5. সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের অসামঞ্জস্যতার জন্য:

1. সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এর অভাব বা অসামঞ্জস্যতা LDL ("খারাপ") কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
2. অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এর অভাব বা অসামঞ্জস্যতা HDL ("ভালো") কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে।
3. অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড এর অসামঞ্জস্যতায় ফ্রিনোডার্মা নামক চর্মরোগ ও হতে পারে।