** Study Nutrition ওয়েবসাইটে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাগত ** নিউট্রিশন সাবজেক্ট এর প্রথম বাংলা ওয়েবসাইট **

2.5. Method of Assessment of Nutritional Status (পুষ্টির মান নির্ণয়)

 পুষ্টিমান নির্ণয়ের পদ্ধতি 

পুষ্টিমান নির্ণয়ের ABCD পদ্ধতি হলো পুষ্টি মূল্যায়নের পদ্ধতি, যা চারটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত: Anthropometric, Biochemical, Clinical, এবং Dietary মূল্যায়ন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি ব্যক্তির পুষ্টির অবস্থা নির্ধারণ করা যায়।

1. দৈহিক পরিমাপ / মানবমিতি Anthropometric মূল্যায়ন: 

এটি শারীরিক পরিমাপের মাধ্যমে পুষ্টিমান নির্ধারণ করে।

Anthropometry (মানবমিতি) হলো শরীরের আকার, আকৃতি, এবং গঠন পরিমাপের বিজ্ঞান। পুষ্টিমান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

Anthropometry পদ্ধতিতে সাধারণত নিম্নলিখিত পরিমাপগুলি করা হয়:

  • ওজন (Weight): দেহের মোট ওজন কিলোগ্রাম (kg) বা পাউন্ড (lb) এ পরিমাপ করা হয়।
  • উচ্চতা (Height): সাধারণত সেন্টিমিটার (cm) বা ফুট ও ইঞ্চিতে (ft in) পরিমাপ করা হয়।
  • Body Mass Index (BMI): ওজন এবং উচ্চতার উপর ভিত্তি করে দেহের মাস সূচক (BMI) নির্ণয় করা হয়। BMI স্থুলতা ও ওজনের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকি নির্ণয়ে সাহায্য করে।
  • মাথার পরিধি (Head Circumference): শিশুদের ক্ষেত্রে মাথার পরিধি পরিমাপ করা হয় মস্তিষ্কের বিকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য।
  • Waist Circumference (কোমর পরিধি): পেটের চারপাশে নাভির ঠিক উপরের দিক থেকে পরিমাপ করা হয়। এটি শরীরের ফ্যাট এর বণ্টন নির্ণয়ে সাহায্য করে।
  • Skinfold Thickness (চামড়ার ভাঁজের পরিমাপ): ক্যালিপার নামক যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন স্থানে চামড়ার ভাঁজের পরিমাপ পরিমাপ করা হয়। এটি শরীরের ফ্যাট এর পরিমাণ নির্ণয়ে সাহায্য করে।

Anthropometry পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা:

  • শুধুমাত্র ওজন বা BMI পুষ্টির অবস্থা সম্পূর্ণরূপে নির্দেশ করে না। পেশীবহুল মানুষের ওজন বেশি হতে পারে কিন্তু শরীরের ফ্যাট কম থাকতে পারে।
  • এই পদ্ধতি শরীরের গঠন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দেয়, তবে শরীরের ফ্যাট এর বণ্টন বা পেশীর গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয় না।

Anthropometry পদ্ধতির সুবিধা:

  • আপেক্ষাকৃত সহজ, দ্রুত, এবং খরচসাপেক্ষ নয়।
  • বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না।
  • শিশুদের ক্ষেত্রেও সহজে প্রয়োগ করা যায়।

Anthropometry পদ্ধতি সাধারণত অন্যান্য পদ্ধতির সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়, যেমন খাদ্য গ্রহণ পর্যবেক্ষণ, রক্ত পরীক্ষা, এবং ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা। এভাবে পুষ্টিমান সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায়।

A. দৈহিক ওজন পরিমাপ:

দৈহিক ওজন পরিমাপ পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সূচক, যা পুষ্টি অবস্থা, রোগের ঝুঁকি এবং সামগ্রিক সুস্থতার মূল্যায়নে সহায়ক। সঠিকভাবে দৈহিক ওজন পরিমাপ করতে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। নিচে দৈহিক ওজন পরিমাপের পদ্ধতি ও নির্দেশনা উল্লেখ করা হলো:

ওজন পরিমাপের পদ্ধতি
  1. উপকরণ:

    • ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র: আধুনিক এবং নির্ভুল মাপের জন্য ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার করুন।
    • মেকানিক্যাল ওজন মাপার যন্ত্র: একটি সাধারণ ওজন মাপার যন্ত্র যা প্রায়শই চিকিৎসকের অফিসে পাওয়া যায়।
  2. প্রস্তুতি:

    • পরিধান: হালকা পোশাক পরুন এবং জুতা খুলে রাখুন।
    • শারীরিক অবস্থা: প্রস্রাব ও পায়খানা করার পরে ওজন মাপা উচিত।
  3. ওজন পরিমাপের স্থান ও সময়:

    • সমতল স্থানে: যন্ত্রটি একটি সমতল এবং কঠিন স্থানে রাখুন।
    • নিয়মিত সময়ে: প্রতিদিন একই সময়ে ওজন মাপা উচিত, সাধারণত সকালে খালি পেটে।
  4. পদক্ষেপ:

    • যন্ত্রটি একটি সমতল স্থানে স্থাপন করুন।
    • যন্ত্রটির ক্যালিব্রেশন পরীক্ষা করুন এবং এটি শূন্যে সেট করুন।
    • যন্ত্রের উপর সরাসরি দাঁড়ান, পা দুটি যন্ত্রের উপর সমানভাবে রাখুন।
    • স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে পরিমাপটি পড়ুন এবং তা লিপিবদ্ধ করুন।
ওজন পরিমাপের নির্দেশনা
  • সঠিক ওজন: ওজন মাপার সময় হালকা পোশাক পরিধান করা উচিত এবং জুতা খোলা উচিত।
  • নিয়মিত পরিমাপ: নিয়মিতভাবে ওজন মাপা উচিত, একই সময়ে এবং একই শর্তে।
  • উপকরণের যত্ন: ওজন মাপার যন্ত্রটি নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত।
ওজন সংক্রান্ত বিবেচনা
  1. বডি মাস ইনডেক্স (BMI): ওজন ও উচ্চতার ভিত্তিতে শরীরের সঠিক ওজন নির্ধারণের একটি পদ্ধতি। BMI কে কোয়াটলেট ইনডেক্স (Quetlet Index) -ও বলা হয়। 

    • সুত্রBMI = ওজন (কেজি) / (উচ্চতা (মিটার))²
    • ব্যাখ্যা:
      • 18.5-এর নিচে: কম ওজন (Underweight)
      • 18.5-24.9: স্বাভাবিক ওজন (Normal weight)
      • 25-29.9: অতিরিক্ত ওজন (Overweight)
      • 30 এবং এর বেশি: স্থূলতা (Obesity)
  2. ওজন পরিমাপের সময়কার সাধারণ ত্রুটি:

    • যন্ত্রটি সঠিকভাবে ক্যালিব্রেট করা না থাকলে ভুল পরিমাপ হতে পারে।
    • সমতল স্থানে না রাখলে বা অসতর্কভাবে দাঁড়ালে সঠিক পরিমাপ হবে না।
  3. অন্য যন্ত্র:

    • বডি ফ্যাট স্কেল: ওজনের পাশাপাশি শরীরের চর্বি শতাংশ নির্ধারণ করে।
    • বায়োইলেক্ট্রিক ইম্পিডেন্স বিশ্লেষণ (BIA): শরীরের বিভিন্ন অংশের ফ্যাট এবং মাসল নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।

সঠিক ওজন পরিমাপ এবং নিয়মিত মনিটরিং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টিবিজ্ঞানী গোমেজ ও তার সহযোগী নিম্নের সূত্র অনুযায়ী ওজন দ্বারা পুষ্টির মান নির্ণয় করেছেন :

গোমেজ এবং তার সহযোগীরা ওজন দ্বারা পুষ্টির মান নির্ণয়ের জন্য একটি শ্রেণিবদ্ধ পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন, যা শিশুদের অপুষ্টির মাত্রা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত, যা শিশুর ওজন তার বয়সের জন্য আদর্শ ওজনের কত শতাংশ তা ভিত্তিক করে নির্ধারিত হয়।

গোমেজ শ্রেণিবদ্ধ পদ্ধতি

গোমেজ পদ্ধতি অনুসারে অপুষ্টির তিনটি পর্যায়:

  1. প্রথম পর্যায়ের অপুষ্টি (Mild Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন আদর্শ ওজনের ৭৫% থেকে ৯০% হলে প্রথম পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
    • এটি তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
  2. দ্বিতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি (Moderate Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন আদর্শ ওজনের ৬০% থেকে ৭৫% হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
    • এই পর্যায়ে শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নের জন্য বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা প্রয়োজন।
  3. তৃতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি (Severe Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন আদর্শ ওজনের ৬০% এর কম হলে তৃতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
    • এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং অবিলম্বে চিকিৎসা ও পুষ্টি পুনর্বাসনের প্রয়োজন হয়।
গোমেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে পুষ্টির মান নির্ণয়ের পদক্ষেপ:
  1. আদর্শ ওজন নির্ধারণ:

    • শিশুর বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী আদর্শ ওজন নির্ধারণ করতে হবে। এটি সাধারণত WHO বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা থেকে নির্ধারিত হয়।
  2. বর্তমান ওজন পরিমাপ:

    • সঠিক পদ্ধতিতে শিশুর বর্তমান ওজন পরিমাপ করতে হবে।
  3. ওজনের শতাংশ নির্ধারণ:

    • শিশুর বর্তমান ওজনকে তার আদর্শ ওজনের সাথে তুলনা করে শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
    • সূত্রশতাংশ (%) = (বর্তমান ওজন / আদর্শ ওজন) × 100
  4. শ্রেণিবদ্ধকরণ:

    • উপরের সূত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত শতাংশ মানের ভিত্তিতে শিশুর অপুষ্টির মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
উদাহরণ

ধরা যাক, একটি ৫ বছর বয়সী ছেলের আদর্শ ওজন ১৮ কেজি।

  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১৬ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১৬ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৮৮.৯%
    • এটি প্রথম পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১৩ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১৩ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৭২.২%
    • এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১০ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১০ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৫৫.৬%
    • এটি তৃতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
গুরুত্ব

গোমেজ পদ্ধতি শিশুদের অপুষ্টির বিভিন্ন মাত্রা নির্ধারণে সহায়ক এবং তাদের জন্য যথাযথ চিকিৎসা ও পুষ্টি পুনর্বাসন পরিকল্পনা করতে সহায়ক। এটি স্বাস্থ্য কর্মী ও পুষ্টিবিদদের জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইন্ডিয়ান একাডেমী অফ পেডিয়াট্রিক্স দ্বারা ওজন অনুযায়ী অপুষ্টির শ্রেণীবিভাগ:

ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (Indian Academy of Pediatrics, IAP) শিশুদের অপুষ্টি নির্ণয়ে একটি শ্রেণীবদ্ধ পদ্ধতি প্রস্তাব করেছে। এই পদ্ধতিটি ওজন দ্বারা শিশুদের অপুষ্টির মাত্রা নির্ধারণে সহায়ক। IAP-এর শ্রেণীবিভাগ গোমেজ পদ্ধতির মতো, তবে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এখানে IAP পদ্ধতি অনুযায়ী ওজন ভিত্তিক অপুষ্টির শ্রেণীবিভাগ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:

IAP শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি

IAP শ্রেণীবিভাগ অনুসারে অপুষ্টির চারটি পর্যায়:

  1. স্বাভাবিক (Normal):

    • শিশুর বর্তমান ওজন তার আদর্শ ওজনের ৮০% বা তার বেশি হলে শিশুটি স্বাভাবিক পুষ্টির অন্তর্ভুক্ত হয়।
  2. প্রথম পর্যায়ের অপুষ্টি (Grade I Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন তার আদর্শ ওজনের ৭১% থেকে ৮০% হলে প্রথম পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
  3. দ্বিতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি (Grade II Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন তার আদর্শ ওজনের ৬১% থেকে ৭০% হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
  4. তৃতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি (Grade III Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন তার আদর্শ ওজনের ৫১% থেকে ৬০% হলে তৃতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
  5. চতুর্থ পর্যায়ের অপুষ্টি (Grade IV Malnutrition):

    • শিশুর বর্তমান ওজন তার আদর্শ ওজনের ৫০% বা তার কম হলে চতুর্থ পর্যায়ের অপুষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।
IAP পদ্ধতি ব্যবহার করে পুষ্টির মান নির্ণয়ের পদক্ষেপ
  1. আদর্শ ওজন নির্ধারণ:

    • শিশুর বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী আদর্শ ওজন নির্ধারণ করতে হবে। এটি সাধারণত WHO বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা থেকে নির্ধারিত হয়।
  2. বর্তমান ওজন পরিমাপ:

    • সঠিক পদ্ধতিতে শিশুর বর্তমান ওজন পরিমাপ করতে হবে।
  3. ওজনের শতাংশ নির্ধারণ:

    • শিশুর বর্তমান ওজনকে তার আদর্শ ওজনের সাথে তুলনা করে শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
    • সূত্রশতাংশ (%) = (বর্তমান ওজন / আদর্শ ওজন) × 100
  4. শ্রেণিবদ্ধকরণ:

    • উপরের সূত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত শতাংশ মানের ভিত্তিতে শিশুর অপুষ্টির মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
উদাহরণ

ধরা যাক, একটি ৫ বছর বয়সী ছেলের আদর্শ ওজন ১৮ কেজি।

  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১৫ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১৫ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৮৩.৩%
    • এটি স্বাভাবিক পুষ্টির অন্তর্ভুক্ত।
  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১৪ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১৪ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৭৭.৮%
    • এটি প্রথম পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১২ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১২ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৬৬.৭%
    • এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ১০ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (১০ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৫৫.৬%
    • এটি তৃতীয় পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
  • যদি ছেলেটির বর্তমান ওজন হয় ৮ কেজি:

    • শতাংশ (%) = (৮ কেজি / ১৮ কেজি) × 100 = ৪৪.৪%
    • এটি চতুর্থ পর্যায়ের অপুষ্টি নির্দেশ করে।
গুরুত্ব

IAP পদ্ধতি শিশুদের অপুষ্টির বিভিন্ন মাত্রা নির্ধারণে সহায়ক এবং তাদের জন্য যথাযথ চিকিৎসা ও পুষ্টি পুনর্বাসন পরিকল্পনা করতে সহায়ক। এটি স্বাস্থ্য কর্মী ও পুষ্টিবিদদের জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

WHO (World Health Organization) এশিয়ান সূচক অনুযায়ী BMI (Body Mass Index) নির্ধারণ:

WHO (World Health Organization) এশিয়ান সূচক শিশুদের বয়স এবং লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে BMI (Body Mass Index) নির্ধারণ করে।

এই সূচকটি নিম্নলিখিত BMI পরিসর ব্যবহার করে:

বয়সলিঙ্গ   অপুষ্টি   স্বাভাবিক   ওজনের  ঘাটতি    স্থূলতা      স্থূলতা
0-3 মাসছেলে   < 16   16-17.5          17.5-19    19-20.5      > 20.5
0-3 মাসমেয়ে   < 15.5   15.5-17          17-18.5    18.5-20      > 20
4-6 মাসছেলে   < 17   17-18.5          18.5-20    20-21.5      > 21.5
4-6 মাসমেয়ে   < 16   16-17.5          17.5-19    19-20.5      > 20.5
7-12 মাসছেলে   < 17.5   17.5-19          19-20.5    20.5-22      > 22
7-12 মাসমেয়ে   < 16.5   16.5-18          18-19.5    19.5-21      > 21
13-24 মাসছেলে   < 18   18-20          20-22    22-24      > 24
13-24 মাসমেয়ে   < 17   17-19          19-21    21-23      > 23
25-36 মাসছেলে   < 18.5   18.5-21          21-23.5    23.5-26      > 26
25-36 মাসমেয়ে   < 17.5   17.5-20          20-22.5    22.5-25      > 25
37-48 মাসছেলে   < 19   19-22          22-25    25-28      > 28
37-48 মাসমেয়ে   < 18   18-21          21-24   24-27      > 27
49-60 মাসছেলে   < 19.5   19.5-23          23-26.5   26.5-30      > 30
49-60 মাসমেয়ে   < 18.5   18.5-22          22-25.5   25.5-29      > 29